শিরোনাম
Passenger Voice | ১১:৪৮ এএম, ২০২৪-০৪-১৬
সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ এখনো উচ্চ ঝুঁকিপ্রবণ এলাকা অতিক্রম করেনি। তাই আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী জাহাজটিতে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাহাজটির মালিক কেএসআরএম গ্রুপের কর্মকর্তারা।
সোমালি জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত হওয়ার পর বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দুবাইয়ের পথে রয়েছে এমভি আবদুল্লাহ ও এর ২৩ বাংলাদেশি নাবিক। জাহাজটিতে রাখা হয়েছে কড়া পাহারা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নৌবাহিনীর জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহকে দিচ্ছে বিশেষ নিরাপত্তা।
সোমবার (১৫ এপ্রিল) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম জানায়, এই নিরাপত্তার মধ্যেই আগামী ২২ এপ্রিল (সোমবার) দুবাইয়ের আল হামরিয়া বন্দরে পৌঁছাবে জাহাজটি।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে প্রকাশিত বেশ কিছু ছবিতে দেখা যায়, কাঁটাতার দিয়ে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা। এতে আবারও যাতে কোনো জলদস্যু উঠতে না পারে, সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার আগ পর্যন্ত থাকছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নৌবাহিনীর জাহাজ। এছাড়া আবারও কোনো জলদস্যু হামলা করলে, তা প্রতিহতে নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
জাহাজটির মালিক প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, জাহাজটি বর্তমানে আরব সাগর পাড়ি দিচ্ছে। ফলে সোমালি উপকূল থেকে জাহাজটির দূরত্ব বেশি নয়। এ কারণেই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ীই এই বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
কেএসআরএম গ্রুপের হালনাগাদ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে জাহাজটির চারপাশ কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে। দস্যুরা হানা দিলে যাতে উচ্চ চাপে পানি ছিটানো যায়, সেজন্য জাহাজের ডেকে ফায়ার হোস প্রস্তুত রাখা হয়েছে। আবার কোনো বিপদ হলে নাবিকেরা যাতে জাহাজে সুরক্ষিত স্থানে লুকাতে পারেন, সে জন্য ‘সিটাডেল’ (জাহাজের গোপন কুঠুরি) প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি জিম্মি করে। দেশটির উপকূল থেকে ৬০০ নটিক্যাল মাইল দূরে ভারত মহাসাগর থেকে জাহাজটি ছিনতাই করা হয়। এর ৩২ দিন পর, অর্থাৎ ৩৩ দিনের জিম্মিদশা থেকে গত শনিবার দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত 2019 - 2024 PassengerVoice | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ
Developed By Muktodhara Technology Limited.